পুলিশের অসহযোগিতায় সালমানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন শার্লিন!
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বলিউড পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে নিজের বয়ান রেকর্ড করতে মুম্বাইয়ের জুহু থানায় গিয়েছিলেন শার্লিন চোপড়া। সেখানে যদিও তার বয়ান নেওয়া হয়নি, ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থানা থেকে বেরিয়ে সালমান খানের নামে ক্ষোভ উগরে দেন এই অভিনেত্রী। সাজিদের মাথার ওপর সালমানের হাত রয়েছে তাই প্রশাসন সহযোগিতা করছে না— অভিযোগ শার্লিনের।
পাপারাৎজিদের সামনে শার্লিনকে বলতে শোনা গেল, ‘সাজিদ খানের মাথায় আর কারো না সালমান খানের হাত রয়েছে। আর উনি থাকতে কেউ সাজিদের গায়ে হাতও লাগাতে পারবে না।’ এরপরই পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া অসহযোগিতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি নিজে অ্যাসিস্টান্ট পুলিশ অফিসারকে ফোন করে বললাম, জুহু পুলিশ কোনোভাবে সাহায্য করছে না আমায়। জানি না কী অসহায়ত্ব আছে ওদের। ওপর থেকে কী চাপ আসছে। আমি শুধু ভাবছি একজন তারকা হয়ে আমার সঙ্গে যদি এরকম হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হয়!’ এরপর সজল চোখে জানান, তার দাবি কোনোরকম পক্ষপাত না করে শুধু পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করুক।
শার্লিনের বয়ান অনুযায়ী ২০০৫ সালে সাজিদের লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে পরিচালক নিজের যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেছিলেন শার্লিনকে। এবং সেটিকে ১ থেকে ১০-র মধ্যে নম্বর দিতে বলেছিলেন। যদিও এদিন জুহু থানায় গিয়ে তাকে ব্যর্থই হতে হয়। কারণ যেই পুলিশ অফিসারের তার বয়ান নেওয়ার কথা তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এক মহিলা অফিসারকে চেয়েছিলেন তিনি বয়ান রেকর্ড করানোর জন্য, সেটাও মানা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে যখন সাজিদের ওপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তখন ৯ জন মহিলা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি যেদিন থেকে ‘হাউসফুল’ পরিচালক বিগ বসের ঘরে প্রবেশ করেছেন সেদিন থেকেও তাকে নিয়ে মুখ খুলেছে একাধিক অভিনেত্রী। যদিও ‘বিগ বস’ নির্মাতা থেকে সালমান খান কেউই এই নিয়ে টু শব্দ করেনি। সাজিদও বেশ গুড বয় ইমেজ ধরে রেখেছে ঘরের ভেতরে। কিন্তু বারবার একটা প্রশ্নই উঠছে, যে মানুষের ওপর ১০ জনের বেশি মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে তাকে কীভাবে আনা হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্মে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস