জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কেন কাঁদলেন রাজ-পরীমণি?
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি ঝরল। এদিন প্রকৃতির কান্নার খানিক রঙছটা দেখা গেল বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে। তবে সেটা কোনো দুঃখের নয় বরং সুখের কান্না। জীবন ঝড়ে বয়ে চলা উত্তাল নদীর দুই সহযাত্রীর মিলন এবং ঝড়ঝাপটা সামাল দেওয়ার সে গল্প অশ্রুসিক্ত করল তাদের দুজনকে। পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের চোখের কোণায়ও খানিকটা জল ধরা দিলো!
‘মাতৃত্ব মানেই শুভ্রতা, মাতৃত্ব মানেই শান্তি’— শান্তির পায়রার আদলে সজ্জিত মঞ্চে ছড়িয়ে দেওয়া হলো শান্তির বার্তা। কিন্তু দিনভর অশান্ত রইল প্রকৃতি। বৈরী আবহাওয়ার দরুন অনুষ্ঠান শুরু হলো নির্ধারিত সময়ের পর। এদিন মঞ্চে একসঙ্গে জন্মদিনের কেক কাটেন পরী, ছেলে রাজ্য, স্বামী রাজ ও নানা শামসুল হক গাজী মিলে। আগেই জানিয়েছিলেন এবারের জন্মদিনের কেক ছেলের হাতে কাটবেন।
বরাবরের মতো এবারও জন্মদিনের আয়োজনে বেশ কিছু চমক ছিল। এর অন্যতম হলো পরীর জীবনভিত্তিক ডকু ফিল্ম ‘নতুন জন্মের গল্প’ প্রদর্শন। পৃথিবীতে ছেলে রাজ্যর আগমন বার্তা, মাঝখানে অপেক্ষার মধুর মুহূর্তগুলোর স্মৃতিনামা ওঠে এলো ডকু ফিল্মে। যেখানে ছেলে রাজ্যের আগমন বর্ণনা করেন মা পরী।
ডকু ফিল্মে পরীকে বলতে শোনা যায়, ‘একদিন সকালে আমি অনুভব করলাম আমার জীবনে আরও একজন আসছে। ঘুমন্ত রাজকে (স্বামী) বললাম, রাজ আরেকজন আসছে। আমি টের পাচ্ছি। রাজ ঘুমের মধ্যে বলল, আসুক এই যে আমার বালিশের পাশে ঘুমাবে।’
এরপর হবু মাকে ঘিরে দায়িত্ববান স্বামী রাজের কর্মকাণ্ড ও যত্নের কথা তুলে ধরেন পরী। এখন তার পরিবারে আপন বলতে আছেন চারজন। এদের নিয়ে আগামী দিনে সুখে-শান্তিতে থাকার ইচ্ছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ অভিনেত্রীর।
ডকু ফিল্ম শেষ হলে অশ্রুসিক্ত রাজ-পরী একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। আবেগের জল গড়িয়ে পড়ে দুজনের চোখ বেয়ে। যেন কানে কানে রাজ তার পরীকে বলছেন, ‘ভালোবাসি পরী, সুখে থেকো জীবনের বাকিটা সময়। শুভ জন্মদিন তোমাকে।’
কেএইচটি/আরআইজে