হয়তো ঢাকায় এটাই আমার শেষ গান: কবীর সুমন
গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় আছেন ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। ঢাকা তাকে ডেকেছিল ভালোবাসা আর সম্মানে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে তিনি গেয়েছেন তিনটি শোতে। ১৫, ১৮ ও গতকাল ২১ অক্টোবর (শুক্রবার) হলো সে আয়োজন। শেষ শোতে কবীর সুমন জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ নিয়ে তার গভীর অনুভূতির কথা।
প্রশংসায় ভাসালেন এ দেশের শ্রোতা-ভক্তদের। বললেন, ‘ভারত আমাকে ডাকে না। কারণ, আমি সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবীর সুমন হয়েছি। অথচ কবীর সুমন কোনো ধর্মীয় টাইটেল নয়। এ দেশে আসার পর সাংবাদিকরা এত বেশি আমাকে নিয়ে বলেছেন, প্রশংসা করেছেন; কলকাতায় যারা আমাকে দেখাশোনা করেন, তারা বেশ অবাক। সুমনকে নিয়েও তাহলে ভালো কিছু বলা যায়!’
দীর্ঘ ১১ বছর পর ঢাকায় গাইলেন সুমন। শিল্পীর অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’-এর ৩০ বছর উদযাপন শীর্ষক এ আয়োজন করে পিপহোল। কথা ও গানে মুগ্ধ করেন কবীর সুমন।
আবেগী গলায় বললেন, ‘হতে পারে ঢাকায় এটাই আমার শেষ গান। কারণ, শরীর টানছে না। কেউ আমাকে আটকাবে না, শরীর আটকাবে।’ সুমনের কণ্ঠে একইভাবে বিদায়ের সুর ছিলে ১৫ অক্টোবরের শোতেও। হাতের পাশে রাখা ইনহেলার দেখিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ভয় পাবেন না, মরব না। আমি এমন ভাগ্য করে জন্মাইনি যে, বাংলাদেশের মাটিতে মরব।’
শেষ দিনে গেয়েছেন ‘যাচ্ছে জীবন’, ‘একেকটা দিন’, ‘আমি চাই’, ‘পুরানো সেই দিনের কথা’, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘যদি ভাবো কিনছো আমায়’। জনপ্রিয় এ গায়ক ‘তোমাকে চাই’ গেয়েই ইতি টানেন তার এবারের ঢাকা সফর।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে গান করেছিলেন কবীর সুমন, তখন কোনো পারিশ্রমিক নেননি তিনি। টিকিট বিক্রির পুরো অর্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিলে দিয়েছিলেন।
কেএইচটি/আরআইজে