নির্মাতা-শিল্পীদের দাবি, ‘সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিলের দাবি তুলেছেন দেশের নাটক ও সিনেমা অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী এবং নির্মাতারা। এর পরিবর্তে আন্তর্জাতিক নিয়মে সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাঁচদফা দাবি উত্থাপন করেন শিল্পী-নির্মাতারা। এ সময় সম্মুখভাগে উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম, তারিক আনাম খান, গাউসুল আলম শাওন ও শম্পা রেজা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আফসানা মিমি, নুরুল আলম আতিক, মাসুম রেজা, কামার আহমেদ সাইমন, অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, ইরেশ যাকের, আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারি মমসহ শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশের চলচ্চিত্রে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। দর্শকনন্দিত ‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ, মামলাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা গেছে। এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
শুধু তাই নয়, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি গত সাড়ে তিন বছর ধরে নিষিদ্ধ করে রেখেছে সেন্সর বোর্ড। এ বিষয়েও কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা। এবার একতাবদ্ধ হয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ ও দাবি জানিয়েছেন তারা।
‘বাংলা চলচ্চিত্র বা কন্টটেন্টে সেন্সরশিপের খড়গ: গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেছেন শিল্পী-নির্মাতারা। এগুলো হলো-
১. ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. ‘শনিবার বিকেলে’ চলচ্চিত্র কেন সেন্সর ছাড়পত্র পেল না তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই।
৩. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে এবং প্রস্তাবিত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪. প্রস্তাবিত ওটিটি নীতিমালার ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. চলচ্চিত্র বা কনটেন্ট বিষয়ক কোনও মামলা দায়ের করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (যেমন : খসড়া ওটিটি নীতিমালায় প্ল্যাটফর্মগুলোতে আলাদা কমিশন বোর্ড তৈরির প্রস্তাব আছে, এ জাতীয় কোনও কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
কেআই/আরআইজে