৩ পার্লারের মালিক হয়েও ৮ মাস ধরে বকেয়া ৬০ হাজার
পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামের এক অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও গয়না উদ্ধারের বিষয়টি। তিনি আবার মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।
এবার খোঁজ মিলল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নেইল পার্লারের। মোট তিনটি পার্লার আছে অর্পিতার। তারমধ্যে একটি বরাহনগরের টবিন রোডে। এখানে মাঝে মাঝে আসতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও তার আরও দুটো এই ধরনের পার্লার আছে।
এছাড়া বেলঘরিয়ার রথতলায় ক্লাবটাউন আবাসনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আরও দুটো ফ্ল্যাট রয়েছে।
আবাসনের সভাপতি অঙ্কিত চৌরাশিয়ার অভিযোগ, গত ৮ মাস ধরে দুটি ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৬০ হাজার টাকা বাকি রেখে দিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : বিপুল অর্থসহ আটক, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কে এই অর্পিতা?
এখন প্রশ্ন উঠছে, যেখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন ইডির কর্মকর্তারা, সেখানে ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মাত্র ৬০ হাজার টাকা কেন এতদিন ধরে বকেয়া রেখেছিলেন তিনি?
দুর্নীতির তদন্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা ও বাড়িতে রাখা টাকা মেশিন দিয়ে গোনার পর শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয় অর্পিতাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অর্পিতাকে তার ফ্ল্যাট থেকে বের করে আনেন ইডি কর্মকর্তারা।
ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় অর্পিতা বারবার চিত্কার করে বলতে থাকেন, ‘কোনও অন্যায় করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। জোর করে আমার ফ্ল্যাটে ঢোকা হয়েছে। কী অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তার কোনও উত্তর দেননি ইডি কর্মকর্তারা। আদালতে যাব।’
তবে ফ্ল্যাটে এত বিপুল পরিমাণ টাকা কীভাবে এল, তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি অর্পিতা।
অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে টাকা নেওয়ার জন্য ৪০-৪৫টি ট্রাঙ্ক এবং ট্রাক আনতে হয়েছিল ইডির কর্মকর্তাদের। তার ফ্ল্যাট থেকে মোট ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ৫৮ লাখ টাকার গয়না ও ৫৪ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
আইএসএইচ