ধনকুবেরের সঙ্গে প্রেম নিয়ে বিতর্ক, মুখ খুললেন সুস্মিতা
বলিউড সুন্দরী সুস্মিতা সেন নতুন প্রেমে মজেছেন। এবার তার প্রেমিক ভারতের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ললিত মোদি। ৫৮ বছর বয়সী ললিতের সঙ্গে সুস্মিতার প্রেমের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নানা বিতর্ক, সমালোচনা চলছে।
অনেকেই বলছেন, ললিতের অঢেল অর্থের জন্য তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সুস্মিতা। এজন্য অভিনেত্রীকে ‘গোল্ড ডিগার’ বলেও কটাক্ষ করছেন নেটিজেনরা। ইতোমধ্যে সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন ললিত।
এবার মুখ খুললেন সুস্মিতা সেন। জানালেন, তিনি অর্থ-সম্পদের লোভে সম্পর্কে জড়াননি। তার দাবি, গোল্ড বা স্বর্ণ নয়, তার পছন্দ হীরা। আর সেটা নিজের টাকায় কেনার সামর্থ্য রয়েছে তার।
রোববার (১৭ জুলাই) ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে সুস্মিতা লিখেছেন, ‘আমি একেবারে আমার সত্ত্বা এবং বিবেকে কেন্দ্রীভূত। একাকীত্ব অনুভব করাতে প্রকৃতি যেভাবে তার সৃষ্টিকে একত্রিত করে, সেটাকে আমি ভালোবাসি। যখন আমরা ভারসাম্য হারাই, তখন বোঝা যায় আমরা কতটা বিভক্ত। আমাদের চারপাশের জগতটা কতটা অসুখী, তা দেখে কষ্ট হয়।’
সুস্মিতা আরও বলেছেন, ‘তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মানসিকতা, সস্তা মজার গসিপ, এ ধরনের বন্ধু আমার কখনও ছিল না। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে আমি কখনও দেখাও করিনি। অনেকেই আমার জীবন, চরিত্র সম্পর্কে অসাধারণ মতামত, গভীর জ্ঞান জাহির করছেন। আমাকে ওদের গোল্ড ডিগার বলে মনে হয়েছে। আহা জিনিয়াস।’
সুস্মিতা লিখেছেন, ‘আমি সোনার থেকেও আরও গভীরে খনন করি। সোনা নয়, আমার পছন্দ হীরে। তবে হ্যাঁ, আমি সেগুলি নিজের সামর্থ্যে কিনি। যারা আমার শুভাকাঙ্খী, আমাকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য আমার ভালোবাসা সবসময়। তাদের বলছি, আপনাদের সুস (সুস্মিতা সেন) একেবারে ঠিক আছেন। আমি কখনোই ক্ষণস্থায়ী, ধারকরা আলোতে বাস করতে পছন্দ করি না। আমি সেই সূর্য, যে নিখুঁতভাবে নিজের সত্ত্বা, বিবেকে কেন্দ্রীভূত।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন ললিত। লন্ডনে গিয়ে কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করেন তিনি। সঙ্গে জানান, ‘এই মাত্র লন্ডনে এসে পৌঁছলাম। সদ্য শেষ করেছি মালদ্বীপ এবং সারদিনিয়া ট্যুর। সঙ্গে আমার পরিবার এবং আমার বেটার হাফ সুস্মিতা সেন। নতুন জীবনের শুরু।”
এরপরই মূলত তাদের সম্পর্কের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। শুরু হয় তাদের বিয়ের গুঞ্জনও। তবে সুস্মিতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিয়ে নয়, কেবল প্রেমের সম্পর্কেই আছেন তারা।
কেআই