‘দেবদাস’ থেকে ‘গাঙ্গুবাই’, শ্রেয়ায় মাতোয়ারা বিশ্ব
শুধু বলিউড কিংবা টালিউড নয়, শ্রেয়া ঘোষালের গানে মাতোয়ারা পুরো বিশ্ব। তাকে বলা হয় এ সময়ের সবচেয়ে দক্ষ গায়িকা। তার গানের পারিশ্রমিক এখনও সবচেয়ে বেশি। হবেই না বা কেন। শ্রেয়ার গানের গলাতেই সিনেমা অর্ধেক হিট হয়ে যায়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’। সেখানেও শ্রেয়ার গাওয়া গান সুপারহিট।
তবে আজকের শ্রেয়া হয়ে ওঠার জন্য তার লড়াই কিন্তু কম ছিল না। মাত্র চার বছর বয়সে গান শেখা শুরু করেন শ্রেয়া। যে সময় বাচ্চারা ঠিক করে কথা বলতে শেখে না, সেই বয়সেই শ্রেয়া গেয়ে ফেলতেন একের পর এক কঠিন গান। টেলিভিশন রিয়ালিটি শোতে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ছোট্ট শ্রেয়াকে। সে সময় লতা মঙ্গেশকর থেকে সোনু নিগম সহ বলিউডের নামকরা গায়করা অবাক হয়েছিলেন এই মেয়ের গলা শুনে। শ্রেয়ার বলিউডের প্রথম গান ‘দেবদাস’ ছবিতে।
সঞ্জয় লীলা বানসালির মা শ্রেয়ার গান শুনেছিলেন রিয়ালিটি শোতে। তিনি সঞ্জয় লীলা বানসালিকে শ্রেয়ার কথা বলেন। তারপরই জীবনের প্রথম প্লেব্যাকে সবাইকে চমকে দেন শ্রেয়া। দেবদাস ছবির গান আজও মনে রেখেছে মানুষ। এরপর থেকে শ্রেয়াকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। বলিউডে তার গলাই শেষ কথা। অন্যদিকে টলিউডেও তিনি মানেই সেরা কিছু।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ১৯৮৪ সালের ১২ মার্চ শ্রেয়ার জন্ম। তিনি বড় হন রাজস্থানের কোটার কাছে একটি জায়গায়। সেখান থেকেই গানের চর্চা শুরু। শ্রেয়ার বাবা-মা প্রথম থেকেই তার গানের কদর করেছেন। শনিবার ৩৮ বছরে পা দিলেন এই গায়িকা। বিয়ের পর ছেলেকে নিয়ে তার এখন সুখের সংসার। সেই সঙ্গে চলছে একের পর এক গান।
তবে শুধু সিনেমা নয়, শ্রেয়া মাঝে-মধ্যেই ভক্তদের জন্য গান গেয়ে শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অগণিত ভক্ত। সবাইকে নিজের নতুন নতুন গান খালি গলায় গেয়ে উপহার দেন তিনি। শ্রেয়ার জন্মদিনে ভালোবাসা জানিয়েছেন নেটিজেন থেকে বলি-টলি তারকারা।
এসএসএইচ