কাবিলাকে দর্শক সবসময় একইভাবে দেখতে চায়: পলাশ
জিয়াউল হক পলাশকে পরিচিতি এনে দিয়েছে যে প্রজেক্ট, সেটার নাম ব্যাচেলর পয়েন্ট। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এই ধারাবাহিক নাটকে ‘কাবিলা’ চরিত্রে অভিনয় করে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন পলাশ। এমনকি তিনি নিজের নামের চেয়ে কাবিলা নামেই এখন বেশি পরিচিত।
সাফল্যের সঙ্গে ব্যাচেলর পয়েন্টের তিনটি সিজন প্রচার হয়েছে। সিজন থ্রি প্রচারের পর থেকেই দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল নতুন সিজনের জন্য। সেই অপেক্ষার অবসান হচ্ছে আগামী ১১ মার্চ। সেদিন থেকেই শুরু হচ্ছে সিজন ফোরের প্রচার।
রোববার (৬ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিয়েছে ব্যাচেলর পয়েন্ট টিম। সেখানেই ঢাকা পোস্টের মুখোমুখি হন অভিনেতা-নির্মাতা জিয়াউল হক পলাশ। নতুন সিজনের শুটিংয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা অনেক মজার। কখনো মনে হয় না যে, আমরা শুটিং করছি। মনে হয় আমরা পিকনিক করতে এসেছি। সিজন ফোরে নতুন নতুন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচারে আসার পর আমরা জানব, কোন পর্বের শুটিং করতে গিয়ে আমাদের কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল।’
কাবিলা চরিত্র নিয়ে পলাশ বলেন, ‘কাবিলা চরিত্রটা এমন, তাকে দর্শকরা সবসময় একইভাবে দেখতে চায়। সিজন থ্রিতে মানুষ দেখেছে যে, আমি জেলে ছিলাম। এখন জেল থেকে বের হয়েছি নাকি হইনি, সেই কৌতুহলটা দর্শকের জন্য রেখে দিলাম। আশা করি দর্শক এবার সবকিছুই নতুন দেখতে পাবে।’
সিজন থ্রির শেষ পর্বে দেখানো হয়, কাবিলাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। সেটা মেনে নিতে পারেনি দর্শক। পর্বটি প্রচার হওয়ার পর থেকেই দর্শকরা কাবিলার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি রাস্তায় মিছিল করতেও দেখা গেছে।
ওই পর্ব প্রচারের পর মুহূর্তের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পলাশ বলেন, “সেদিনের অভিজ্ঞতা খুবই ভয়ানক! আমার মনে আছে, যেদিন জেলের পর্বটা প্রচার হয়েছিল, সেদিন আমি নিজের পরিচালনায় একটি নাটক বানাচ্ছিলাম। সেটার শুটিং করছিলাম ধানমন্ডিতে। আমার মাথায় ছিল না যে, ওটাই শেষ পর্ব। আমার শুটিংয়ের মধ্যেই প্রচুর লোকজন এসে জিজ্ঞেস করছিল, ‘ভাই আপনাকে জেলে নিলো কেন? আপনাকে জেলে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ এরপর থেকে প্রতিনিয়ত আমাকে এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে। এখনো পর্যন্ত রাস্তায় বের হলে মানুষ জিজ্ঞেস করে, ‘ভাই আপনি না জেলে? বাইরে কী করেন?”
এই মধুর বিড়ম্বনায় আপ্লুত পলাশ। তার ভাষ্য, ‘দর্শকের এই ভালোবাসা আছে বলেই আমরা ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ফোর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পেরেছি।’
কেআই/আরআইজে