এক মাস পর স্কুলে ফিরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকা স্কুলগুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হয়েছে। এক মাস পর আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্কুলগুলোতে সশরীরে পাঠদান শুরু হলো।
স্কুল খোলায় খুশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। শ্রেণিকক্ষে ফিরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষকরাও। রাজধানীর একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, শুধুমাত্র তারাই শ্রেণিকক্ষে সশরীরে ক্লাস করতে পারছেন। বাকিদের ক্লাস করতে হচ্ছে অনলাইনে।
সকাল থেকেই রাজধানীর প্রভাতী বিদ্যানিকেতনের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। শরীরের তাপমাত্রা মেপে ও হাত ধুয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সবার মুখে মাস্ক দেখা গেছে।
এক মাস পর সশরীরে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে খুশি সবাই। অনেক দিনের জমানো কথার আড্ডা জমিয়েছেন অভিভাবকরা। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন শিক্ষার্থীরা।
একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর দনিয়া এলাকার ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, এ কে স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আলফ্রেড স্কুল এবং মগবাজারের ইস্পাহানি বালিকা বিদ্যালয়ে।
এদিকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা যায়, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল, সেন্ট গ্রেগরি, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার গার্লস স্কুল, সেন্ট্রাল গার্লস স্কুলগুলোতে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পোগোজ স্কুলে আসা অভিভাবক শিল্পী রানী বলেন, 'বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে আসছি, সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। তাই আমি মনে করি স্কুল বন্ধ না রাখাই ভালো। এভাবে স্কুল বন্ধের মধ্যে থাকলে পড়ালেখার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে যাবে।'
স্কুলে আসা শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, 'বাসায় পড়াশোনা করলেও স্কুলে না আসলে একঘেয়েমি চলে আসে। স্কুলে এসে ক্লাস করার মজা অনলাইন ক্লাসের তুলনায় ভালো। অনলাইন ক্লাসে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি না বেশিক্ষণ। '
এর আগে, প্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০টি নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।
এএজে/এমটি/এমএইচএস