কোন বোর্ডে পাসের হার কত
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে এইচএসসিতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে সার্বিক পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
রোববার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার এই ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তিনি ফল ঘোষণা করেন। ফল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতার মূল আয়োজনটি ছিল রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল গ্রহণ করেন।
এবারের এইচএসসিতে দেশসেরা হয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ জন। যশোর বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ জন তবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৩ জন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৬৫ হাজার ৭০৬ জন, ছাত্রী ছিলেন ৬২ হাজার ৪৫৭ জন। ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৭ জন, ছাত্রীদের মধ্যে ১২ হাজার ১৭১ জন।
এরপর পাসের হারে এগিয়ে কুমিল্লা। এ বোর্ডে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন কুমিল্লা বোর্ড থেকে। এর মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ ১১ হাজার ৬৮০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। রাজশাহী বোর্ডে এবার মোট পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৯ জন।
পাসের হারে রাজশাহীর পরে অবস্থান ঢাকা বোর্ডের। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৯৬ দশমিক ২০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৯ জন।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বোর্ড। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৬৬ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৩২ হাজার ৫৭ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৭৩৯ জন। পাস করেছেন ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন। ছাত্র ৩০ হাজার ২৮৯ জন আর ছাত্রী ৩৩ হাজার ৬৭৫ জন পাস করেছেন। প্রতিবারের মতো এবারও এই শিক্ষা বোর্ডে ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএ-৫ এর হারে এগিয়ে। গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল শতভাগ। এ বছর ৫৬টি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ রয়েছে।
তারপর রয়েছে ময়মনসিংহ বোর্ডের অবস্থান। এ বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭০ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৬ হাজার ২৫০ জন।
৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩১ জন। এই বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৬ হাজার ৬৬১ জন। এর মধ্যে মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। সিলেট বোর্ডে শতভাগ পাস করেছে ৫৩টি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সিলেটের পরের অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৮৪ জন।
পাসের হার সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭২০ জন।
পাসের হারে ছাত্রীরা এগিয়ে আছেন। ছাত্রী পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ছাত্র পাস করেছে ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৬২৮ জন। পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৬২ জন।
এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন।
আর কারিগরীতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন।
এএজে/এসএসএইচ/এনএফ