শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার অনিশ্চয়তা কাটছে
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর মাধ্যমে এমপিওভুক্ত ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সময়মত বেতন-ভাতা পাওয়া তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা কাটতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় মাউশির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। রুটিন দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালককে অতিরিক্ত দায়িত্ব না দেওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ঠিক সময়ে বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে আজ যেহেতু মন্ত্রণালয় ডিজি নিয়োগ দিয়েছে, তিনি যোগ দিলেই বাকি কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা পাস হয়ে আসার পর যাবে অ্যাকাউন্টস অফিসে। সেখান থেকে চেক দেওয়া হলে আমরা বিভিন্ন ব্যাংকে সে চেক পাঠিয়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণত প্রতি মাসের তিন তারিখের মধ্যেই চেক ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে এবার যেহেতু মহাপরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছি, নতুন ডিজি দুয়েকদিনের মধ্যে যোগ দিলে আশা করছি ৫-৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চেক ছাড় দিতে পারব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার দুপুরে মাউশির নতুন ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবেমাত্র নিয়োগ হয়েছে। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাইনি। দায়িত্ব পেলে দ্রুতই কাজটি হয়ে যাবে।
জানা গেছে, অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক গত ১১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ায় সারাদেশের সাধারণ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদটি শূন্য হয়। নিয়ম অনুযায়ী তার জায়গায় কলেজ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বা আর্থিক সংশ্লিষ্ট ফাইল অনুমোদনের ক্ষমতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে নতুন ডিজি নিয়োগ পাওয়ায় সে শঙ্কা আর থাকছে না। দ্রুতই বেতন-ভাতা পেতে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এএজে/এসকেডি