আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
রাজধানীর সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, তারা যা করছেন, তা ঠিক নয়। ওখানে মাদরাসা অধিদফতরের ভবন হবে। এটি সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, ছাত্রাবাস নিয়ে যদি শিক্ষার্থীদের বিশেষ কোনো কথা থাকে, তাহলে তারা আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় আমার দরজা খোলা আছে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখতে চাই না। এজন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে। সর্বদা মাস্ক পরিধান করে চলাফেরা করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, যখন ছাত্রলীগ করার বয়স হয়েছিল তখন ছাত্রলীগ ছাড়া আর কিছুই কখনো ভাবিনি। এখানে একটা ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক তৈরি হয়েছে। এটি যদি কাজ করে, তাহলে আমাদের ব্লাডের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব। আগে মানুষ রক্ত দিতে চাইত না কিন্তু এখন নিজেদের আপনজনকে বাঁচানোর জন্য হলেও মানুষ রক্ত দিতে এগিয়ে আসছে। ছাত্রলীগের ৫০ লাখ কর্মীর এ ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংক সফলভাবে কাজ করলে বাংলাদেশের রক্তের চাহিদা সুষ্ঠুভাবে পূরণ হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে একজন মুমূর্ষু মানুষকে বাঁচানো সম্ভব। অথচ এ রক্তটাই তিন মাস পর নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্যাম্পাসে সর্বাধিকবার এসেছি রক্ত নিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক রক্ত দিয়েছি। ছাত্রলীগকে তৈরি করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। আর তার স্বপ্নই ছিল এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে তৈরি করা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. এম এ আজিজসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃরা।
এইচআর/আরএইচ