শিক্ষার্থীদের সম্পদে রূপান্তর করাটাই চ্যালেঞ্জ : শিক্ষামন্ত্রী
বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সম্পদে রূপান্তর করাই চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) গাজীপুরের রোভার পল্লীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিভা অন্বেষণ ও আন্তঃইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে, যা অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই যে শিক্ষার্থী সংখ্যা, এ সংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করাটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটিকে ওভারকাম করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ, স্বাবলম্বী ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হবে। তাদের মধ্যে সহমর্মিতার বোধ তৈরি করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষায় আমরা যা কিছু করছি, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার কথা বলছি- এ সবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পথরেখা। সবকিছুই তার শিক্ষা ভাবনায় রয়েছে। আর এর প্রতিফলন দেখতে পাই ড. খুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনে।
কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরাও সেদিকে এগোচ্ছি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে, তারা ভালো করছে, ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। আমাদের লক্ষ্য ২০৫০ সালে কারিগরি শিক্ষা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। আমাদের অনেকটা পথ বাকি আছে। কারণ অনেক পথ হেঁটেছি অগণতান্ত্রিকভাবে। আমি বিশ্বাস করি নতুন প্রজন্মের হাত ধরে একশ বছরের বাংলাদেশ একটি পূর্ণতার বাংলাদেশ হবে। একশ বছরের বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমৃদ্ধ হবে না, মানবিক বাংলাদেশও হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া প্রমুখ।
এএজে/আরএইচ