এসএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে আদায় করা বাড়তি অর্থ ফেরতের নির্দেশ
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য পরীক্ষার্থীদের টাকার অব্যয়িত (বাড়তি) অংশ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা বোর্ড। শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে এ অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ড থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের এ অর্থ ফেরত দেবে। পরীক্ষার্থীরা কত টাকা ফেরত পাবেন সে হিসেব দিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ঢাকা বোর্ডের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে তাদের প্রবেশপত্রে উল্লেখিত প্রতিটি পত্রের যেসব পত্র বা বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে সেসব বিষয় ছাড়া অন্য বিষয় বা পত্রের জন্য আদায়কৃত বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে পত্র প্রতি (তত্ত্বীয়) ৩০ (ত্রিশ) টাকা করে ফেরত পাবেন।
পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য আদায় করা বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে বিষয় প্রতি ২০ টাকা ফেরত পাবেন। আর আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য বোর্ড ফির ৩০ টাকা ও চতুর্থ বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য বোর্ড ফির ৩০ টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে।
বোর্ড থেকে জারি করা নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া টাকা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
ঢাকা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে এবং ন্যূনতম এক বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের কেন্দ্র ফি থেকে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা শিক্ষার্থীরা ফেরত পাবেন। এছাড়াও আইসিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা ২৫ টাকা এবং চতুর্থ বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ আদায় করা ১০ টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হবে।
২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না তাদের কেন্দ্র ফি বাবদ আদায় করা ৪০০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এসব শিক্ষার্থীদের আইসিটি বিষয়ের অতিরিক্ত আরও ২৫ টাকা ও চতুর্থ বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা ১০ টাকা পরীক্ষার্থীকে ফেরত দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ডের দেওয়া অব্যয়িত অর্থ গ্রহণ করবে।
এএইচআর/এসকেডি