‘পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে তা করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যায় তার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে কীভাবে আরও ভাল করতে পারি তা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে নিতে বলা হয়েছে। ক্লাস রুমের সঙ্গে অনলাইনেও ক্লাস চলবে বলে মন্ত্রী জানান।
করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নেওয়া হবে। ৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, নাকি আরও পরে আনবে; এ বিষয়ে তাদের মতামত নেওয়া হবে, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হবে। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সরাসরি তিন বা চার মাসের মধ্যে সরাসরি ক্লাসে এসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে হবে। সেজন্য তাদের সপ্তাহে ৫ বা ৬ দিন ক্লাসে আসতে হতে পারে। অন্যান্য ক্লাসে সপ্তাহে একদিন আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে সবাইকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে ক্লাস করতে হবে।
একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্লাস রুমে এত শিক্ষার্থী থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে ক্লাসের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মানা খুব কঠিন। তাই ক্লাস রুমে যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি মানা হয় সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, অর্নাস মাস্টার্স শেষ করার পর একজন শিক্ষার্থী যেন বেকার না থাকে সেজন্য কারিকুলাম পরিবর্তনের কাজ করছি। ইতিমধ্যে মাধ্যমিকে কোন বিভাগ থাকবে না সে কাজ শুরু হয়েছে। সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যেন বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরির একটি ট্রেড পড়ানো হয় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা বা সনদ নির্ভর ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। নতুন করে কারিকুলাম সাজানো হচ্ছে, সেজন্য নতুন প্রকল্প চলছে আরও প্রকল্প নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশন এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর মো. ফরাসউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনএম/জেডএস