প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করতে স্মারকলিপি
সম্প্রতি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাশ হওয়া ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২১’ এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধান যুক্ত না করায় তা সংশোধন করে বন্ধ থাকা পদোন্নতি চালু করতে মহাপরিচালক, সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রধান শিক্ষকরা।
বুধবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের আহ্বানে সারাদেশের প্রধান শিক্ষকরা নিজ নিজ উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ী পদোন্নতি দেওয়ারও আবেদন করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক থেকে উপরের পদে পদোন্নতি হতো। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক সংশোধনী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করা হয়। যা প্রধান শিক্ষকদের কাছে একটি ‘কালো আইন’ নামে পরিচিত। ফলে প্রধান শিক্ষক পদটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ‘ব্লক পোস্ট’ হিসেবে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না হওয়ায় এসব প্রধান শিক্ষক হতাশায় কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
সংশোধিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২১’ এ দুটি পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের শুধুমাত্র বিভাগীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তাও আবার এসব পদে আবেদনের বয়সসীমা রাখা হয়েছে ৪৫ বছর। ফলে খুবই অল্পসংখ্যক প্রধান শিক্ষক এসব পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার খসড়া তৈরি করে স্টেকহোল্ডারদের মতামত চাওয়া হলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি শতভাগ পদোন্নতির বিধান পুনর্বহাল করার জন্য প্রস্তাবনা দিলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষকদের উপরের ও নিচের সব পদের পদোন্নতি থাকলেও শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি নেই।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক যুগান্তকারী ঘোষণায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান করলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ১০ম গ্রেডসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদার সুফল ভোগ করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। আবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় হাজার হাজার প্রধান শিক্ষক তাদের বকেয়া টাইমস্কেলও পাচ্ছেন না।
এনএম/এসএসএইচ