ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত হলো ৭৭ হাজার শিক্ষার্থী
সারাদেশে সরকারি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৭৭ হাজার ১১৪টি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়াও সম সংখ্যক আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভার্চ্যুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে সফটওয়্যারে এ লটারি করা হয়। টেলিটক টেকনিক্যাল এ লটারির ব্যবস্থাপনায় ছিলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মাউশি থেকে জানানো হয়, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সারাদেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণির ভর্তিতে মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনে চাহিদা আসে। এর ভিত্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি শুরু করা হয়। প্রথমে রাজধানীর স্কুলগুলো এরপর পর্যায়ক্রমে মহানগরী, জেলা ও উপজেলা শহরের সব মিলিয়ে ৩৯০টি স্কুলে লটারি হয়।
লটারির কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ আরও তিনটি অনলাইন প্লাটফর্মের প্রচার করা হয়। এস সময় স্কুল কর্তৃপক্ষকে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে এ লটারি কার্যক্রম দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। লটারির ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে টেলিটক ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে নির্ধারিত লিংকে গিয়ে প্রতিষ্ঠান সেটি প্রিন্ট করে স্কুলে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবে।
এবারও স্কুলগুলোকে এ, বি এবং সি তিনটি গ্রুপ করে ভর্তির কাজটি করা হবে। ভর্তি আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী পছন্দমত একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয়ে নাম দিতে পেরেছে।
বিভাগ ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা
লটারিতে ঢাকা বিভাগে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১০টি, বরিশালে ১৬ হাজার ২৮৭টি, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৮টি, রাজশাহীতে ৭০ হাজার ৮১২, খুলনায় ৪৩ হাজার ৫০৬টি, রংপুরে ৬৯ হাজার ৫২৩টি, সিলেটে ২৪ হাজার ৫৭৩ এবং ময়মনসিংহে ৪৯ হাজার ৬০টি আবেদন রয়েছে।
শ্রেণি ভিত্তিক আবেদন
প্রথম শ্রেণিতে ৪২ হাজার ৩৭২টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২ হাজার ৬৮৫টি, তৃতীয় শ্রেণিতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৪টি, চতুর্থ শ্রেণিতে ২২ হাজার ৯৬৮টি, পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৬ হাজার ৭৩৪টি, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬টি, ৭ম শ্রেণিতে ১১ হাজার ৫৩১টি, ৮ম শ্রেণিতে ২১ হাজার ৩৯৩টি এবং ৯ম শ্রেণিতে ৩৫ হাজার ৫৩৬টি আবেদন রয়েছে।
ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
যেভাবে জানা যাবে ফল
লটারি শেষ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিভাবকরা টেলিটকের ওয়েবসাইট (https://gsa.teletalk.com.bd/) থেকে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল দেখতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ফল ডাউনলোড করে জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে ই-মেইল করবেন। একইসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে।
আর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভর্তি লটারির বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
এনএম/এমএইচএস