দ্রুত ফল প্রকাশের চেষ্টায় এনটিআরসিএ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ। তবে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও আদালতের রায়ে আটকে গেছে চূড়ান্ত ফল। এ পরিস্থিতিতে আদালতের রায় পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ফল প্রকাশের চেষ্টা করছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল দ্রুত সময়ের প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আদালত থেকে আড়াই হাজার নিবন্ধিত রিটকারীকে মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে এনটিআরসিএ এ ফল প্রকাশ করবে।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএর জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন আদালত। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশের রায় বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। স্থগিতাদেশের বিষয়টি শুনানির জন্য আগামী চার সপ্তাহ পর হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে।
আদালতের নির্দেশনায় রিটকারীদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। মেধাতালিকা অনুযায়ী তাদের যোগদানের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানান, আদালত থেকে আড়াই হাজার রিটকারীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে বলা হলেও সেখানে মেধাক্রম অনুযায়ী যোগদানের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য আগে রিটকারীদের নিয়োগ দিয়ে পরে তৃতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিআরসিএ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, আদালত থেকে ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা দেওয়ায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তার পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে এনটিআরসিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতের রায় সিনিয়র আইনজীবীর মাধ্যমে আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আদালতের নির্দেশনা দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে বাস্তবায়ন করে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এনএম/আরএইচ