শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা
করোনার নতুন যে টিকা আসছে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। সব শিক্ষার্থীকে করোনার টিকার আওতায় এনেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে— জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীর (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষা কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যাবে। সেটা অনলাইনে কিংবা সশরীরে, যেকোনো ভাবেই হোক। আমরা এটি নিশ্চিতের চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দেরি হচ্ছে। তবে টেলিভিশন ও অনলাইনে পাঠদান চলছে। আগামীতে হয়তো সশরীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারব। তবে দেশের কোথাও লকডাউনের প্রয়োজন হলে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হলে শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক যাদের বয়স চল্লিশের ঊর্ধ্বে, তাদের প্রায় সবাই টিকা নিয়েছেন। এখনও যারা বাদ আছেন তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিতে পারবেন। সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য মতে, সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ। তাদের মধ্যে ১২০টি আবাসিক হলে এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর আসন আছে। কিন্তু সেখানে থাকেন দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী। আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বশেষ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তাদের পুরো তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দিয়েছে ইউজিসি। সবমিলিয়ে এক লাখ তিন হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাদের সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় আনা হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১২ জুন পর্যন্ত
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী করোনা অতিমারির কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকপর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জনু পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এ সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বুধবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ছুটি বাড়ানোর এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় ব্যাপক মানুষের চলাফেরা হয়েছে। ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কোনো কোনো জেলায় বেশি। এসব মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি জুনের ১২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
তিনি বলেন, করেনার মধ্যে স্কুলে ভর্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে সব শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা সম্ভব নয়। অ্যাসাইনমেন্টের মতো নতুন বিষয় আমরা যুক্ত করেছি। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে সংশয় থাকলেও সবাই এটা ভালোভাবে নিয়েছে। ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইমেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে ঝরে পড়ার আশংকা অনেকটা দূর হয়েছে।
এনএম/এমএআর