শেষ কর্মদিবসে যা বললেন আলোচিত এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় আসেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ উদ্দিন। সরকার তাকে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে পদায়ন করেছেন। সোমবার (২৪ মে) এনটিআরসিএতে ছিল তার শেষ কর্মদিবস।
কাজের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসা ছিল আমার জীবনের সফল কয়েকটি কাজের মধ্যে একটি। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে আটকে গেছে। তারপরও কাজটি প্রায় শেষ করে দিয়ে গেছি। আদালতের রায় পাওয়ার পরপরই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। এ নিয়োগটি শেষ পর্যন্ত করতে পারলে শিক্ষাপরিবারের একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আশরাফ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ফলাফল প্রকাশ করার সব কিছুই প্রস্তুত করা আছে। তবে আদালতের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নির্দেশনার আগে কিছুই করা যাচ্ছে না। আদালত যদি স্থগিতাদেশ তুলে নেন তাহলে যেকোনো মুহূর্তে এই সুপারিশ করা যেতে পারে। সুপারিশের জন্য সবকিছুই প্রস্তুত করা আছে।
এছাড়া ১৬তমদের মৌখিক পরীক্ষার বিষয় নতুনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। আশরাফ উদ্দিন বলেন, শিগগিরই নতুন চেয়ারম্যান আসবেন। তিনি ১৬তম নিবন্ধনধারীদের ভাইভা পরীক্ষার বিষয় সিদ্ধান্ত নেবেন। বর্তমানে এটি স্থগিত আছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, আমার পরে এনটিআরসিএতে যে আসবেন তিনি যেন খুব সহজেই বাকি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন এ জন্য এখনও নতুন কর্মস্থলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আমি চেষ্টা করেছি আমার প্রতিটি দিন কাজে লাগানোর। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরিতে যোগ না দিতে পারার কষ্ট সবাই অনুধাবন করতে পারে না। আমি চেষ্টা করেছি দ্রুত বিষয়টির সমাধান করতে।
তিনি বলেন, আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করেছি যেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। তবে আদালত ৩১ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দশনা না পাওয়া পর্যন্ত এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ করে যেতে না পারাটা আমাকে সব সময় ভোগাবে। একটা আক্ষেপ থেকেই যাবে।
উল্লেখ, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা কাটানো হয় এ চেয়ারম্যানের হাত ধরে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মূল বাধা ‘মামলার’ ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে তৎপরতা চালান তিনি। অবশেষে আইন মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামত পাওয়া পর বহু কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনএম/এসকেডি