প্রথম দিনে বই পায়নি চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রামে বছরের শুরুতে নতুন বই না পাওয়ায় হতাশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। ১ জানুয়ারি নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বই পায়নি।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায়, শত শত শিক্ষার্থী-অভিভাবক বইয়ের অপেক্ষায় বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান করছে। বিদ্যালয় বই বিতরণের প্রস্তুতিও নেওয়া রেখেছিল। কিন্তু শিক্ষা অফিস থেকে বই না আসায় শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষোভের কথা জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
অভিভাবক সালমা খাতুন জানান, যথা সময়ে বই না পেলে সন্তানদের পড়ার টেবিলে বসানো সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র বলছে, ফটিকছড়ি উপজেলা ছাড়া প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব শ্রেণির পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। আর মাধ্যমিকের দুই থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৭টি বই সরবরাহ করা হয়েছে স্কুলগুলোতে। ফলে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই না উঠলেও বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথমদিন আংশিক বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। আর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের বাকি সব বই বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা যায়, বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ জানুয়ারি শুরু হবে। এরপর থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ধীরে ধীরে সরবরাহ করা হবে। তবে বছরের প্রথম দিনে যেসব বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করা হয়েছে সেখানে সবকটি বই পায়নি শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের ৬ থানা শিক্ষা অফিস ও সব উপজেলা মিলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ জন। আর এবার নতুন বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ কপি। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যদিও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বই না আসায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা বলেন, আমরা যে বইগুলো পেয়েছি সব পাঠিয়ে দিয়েছি। সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। কেবল ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাতটি করে বই পাবে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে।
আরএমএন/এমএন