গত ১৫ বছরের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ে করা হবে।
নব-নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমন্ডিস্থ নগর কার্যালয়ে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার দাবির মুখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠাকালীন নাম মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামকরণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সব আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য প্রফেশনাল বডি/সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর কর্তৃক ৪ বছর মেয়াদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত হওয়ায় সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সদস্যরা অভিমত ব্যক্ত করেন, নব-নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর তার প্রজ্ঞায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দেবেন।
সভায় বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পদোন্নতি বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
এনএম/এসএম