নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : ইউজিসি চেয়ারম্যান
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন নিয়োগ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সবাইকে নিয়ে টিমওয়ার্ক গড়ে কাজ করব। যেখানে যে সমস্যা আছে তা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করে কার্যকর একটি কমিশন করার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
এর আগে বিকেলে ঢাবির সাবেক এ উপাচার্যকে আগামী চার বছরের জন্য ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন
এস এম এ ফায়েজ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি ছিলাম। আমি চেষ্টা করব সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চমৎকার সম্পর্ক তৈরি করার।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছরে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনা ও দুর্নীতির যে অভিযোগ আছে এগুলোর ব্যাপারে আপনার নীতি কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থায় হয়ে থাকে। তবে সেই নিয়োগের জন্য মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন নিতে হয়। তাই কমিশন চাইলে সেখানে হস্তক্ষেপ করে একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে পারে। আমি সেই কাজটুকু করার চেষ্টা করব। নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব।
এদিকে ইউজিসিতে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা নতুন চেয়ারম্যানকে বরণ করতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। যদিও নতুন চেয়ারম্যান কারও কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ আগস্ট ইউজিসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করার পর অস্থিরতা বিরাজ করছিল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকিতে থাকা এ প্রতিষ্ঠানটিতে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সময় নিয়োগ পাওয়া সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীরকে চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্ব দেওয়ার পর সেই অস্থিরতা আরও বাড়তে থাকে। যদিও তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত এক সপ্তাহে ইউজিসিতে যাননি।
গতকাল বুধবার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রফেসর হাসিনা খান। ৫ আগস্টের পর সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ্রের ছেলে প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন অফিস করছেন না।
কর্মকর্তাদের দাবি, প্রফেসর আলমগীর সদস্য হিসেবে টিকে থাকতে সরকারের নানা মহলের সঙ্গে তদবির করছেন। কিন্তু ইউজিসির নানা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার পদত্যাগের দাবি করেছেন ইউজিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এনএম/এসকেডি