পদত্যাগ করলেন চুক্তিতে থাকা ইইডির প্রধান প্রকৌশলী
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করলেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দুই বছরের চুক্তিতে থাকা এই কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বেলা ২টার পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন দপ্তরের কর্মকর্তারা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল, নিম্নমানের কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ১৪৫টি কার্যাদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এসব কাজের ঠিকাদারদের।
সম্প্রতি সিলেট অঞ্চলে ঠিকাদার কাজ না করিয়ে অগ্রিম বিল দেওয়ার হিড়িক পড়ে। একজন ঠিকাদার অগ্রিম বিল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসার পর গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।
জানা গেছে, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহের কাজ করে থাকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি-সুবিধা সরবরাহের কাজও তারা করে থাকে। শিক্ষার উন্নয়ন বাজেটের সিংহভাগ এ দপ্তরের জন্য বরাদ্দ থাকে।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। এর আগে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে এ পদের চলতি দায়িত্ব এবং ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পান তিনি। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির এলাকার এই কর্মকর্তা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আমলে।
গত রোববার ইইডির প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করে অধিদপ্তরের সর্বস্তরের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আফরোজা বেগম। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও দোয়া করা হয়।
এনএম/পিএইচ