প্রশ্নফাঁস করে এমপিও খোয়ালেন দুই শিক্ষক
গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলামের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন যা অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা। এ পরীক্ষা শুরুর আগের রাতেই প্রশ্নফাঁস হয়ে যায়। এরপর কারা প্রশ্নফাঁস করেছে তা চিহ্নিত করতে মাঠে নামে শিক্ষা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে দুইজন শিক্ষককে চিহ্নিত করে তাদের এমপিও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এ দুই শিক্ষক হলেন, পটুয়াখালী সদরের ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, সম্প্রতি ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই প্রধান শিক্ষকের বেতন- ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। তাদের চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিনি জানান, এ ধরনের কার্যক্রম কখনই শিক্ষক সুলভ হতে পারে না। তাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
একই অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ( এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, দুইজনকে শিক্ষককে মাউশি অধিদপ্তর চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় এনেছে।
তিনি বলেন, এ পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও সমস্যা নেই। কারণ কিছু বিষয় আছে বই দেখে পরীক্ষা দিতে পারে। গত বছর ১৫ দিন আগেই স্কুলে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিতাম। কিন্তু এখন নৈপুণ্য অ্যাপসের মাধ্যমে শুধু প্রধান শিক্ষকের আইডিতে পাঠানো হয়। শিক্ষক ডাউনলোড করার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমাধানসহ ছড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে।
এনএম/এসকেডি