বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য হচ্ছে প্রশিক্ষণ একাডেমি
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বুনিয়াদীসহ নানা প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ একাডেমি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য এমন কোনো একাডেমি নেই। এবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
বুধবার (১৫ মে) ইউজিসি সভা কক্ষে বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মানোন্নয়নে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর আওতায় শিগগিরিই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে যা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে। এর ফলে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভুঁইয়া, হিট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি আসাহাবুর রহমানসহ ইউজিসি ও বিশ্ব ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রূপান্তরে গৃহীত হিট প্রকল্প যথাসময়ে শুরু করা প্রয়োজন। হিট প্রকল্পের আওতায় ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া, একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় প্রায়োগিক গবেষণাকর্ম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্ভব হবে। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্যাটেন্ট ও তার বাণিজ্যিকীকরণ সম্ভব হবে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ কাঙ্ক্ষিত হলেও চাকরির বাজারে তারা বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় শ্রম বাজারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, হিট প্রকল্পে বাজার চাহিদাভিত্তিক কারিকুলাম প্রণয়ন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, বিডিরেনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের কার্যক্রম বেগবান করা, ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিযোগিতামূলক গবেষণার উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এনএম/এসকেডি