সুরক্ষা ডিভাইসের কারণে পরীক্ষায় অসদুপায় শূন্যের কোটায়
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষায় বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ সিস্টেমের যথাযথ প্রয়োগের ফলে অসদুপায় অবলম্বন রোধ করা গেছে বলে দাবি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রাথমিকের লিখিত পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে দাবি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
পরীক্ষা শেষে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সচিব জানান, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না ওঠে সেজন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুত্ফুল কবিরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে মন্ত্রণালয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। আজকের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ ধরনের সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে। তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে না।
এর আগে গত ২১ মার্চ সচিবালয়ে ফরিদ আহাম্মদ জানান, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় জালিয়াতির উদ্দেশ্যে কানের ভেতরে ডিজিটাল ডিভাইস রাখলে সুরক্ষা যন্ত্র তার সন্ধান দেবে। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো এ যন্ত্রটি ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ সফলতা পেয়েছি। সেজন্য ২৯ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হবে। শিগগিরই এর শতভাগ ব্যবহার শুরু হবে। সফল হলে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর ডিজিটাল জালিয়াতির রোধে এ যন্ত্রটি ব্যবহার করবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে শেষ ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এবারের পরীক্ষায় অংশ নিতে ৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়ে। এর আগে প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এনএম/এসএসএইচ