জুনের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা?
চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠাচ্ছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে জুনের শেষ সপ্তাহে যেকোনো দিন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
ঈদের আগেই এ পরীক্ষার বিষয়ে রুটিন চূড়ান্ত করার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী সম্ভবত তিনটা তারিখ প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় যে তারিখ চূড়ান্ত করবে সে অনুযায়ী পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন
জানা গেছে, চলতি মাসে পরীক্ষার সময়সূচী ঠিক করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সূচি চূড়ান্ত করা হবে। চলতি মাসে পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের কাজ শেষ করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর ফরম পূরণ শুরু হবে। ফরম পূরণ চলাকালীন পরীক্ষার একটি খসড়া রুটিন তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা, আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক বছর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।
২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। সে বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
এনএম/এমএসএ