উপবৃত্তির টাকা নিয়ে প্রতারণা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
সম্প্রতি ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে প্রাথমিকের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়েদের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হয়। এরপর থেকে একটি প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদের পিন নাম্বার, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এখনও চলছে এ প্রতারণা।
এ নিয়ে গত ৩১ মার্চ নিউজপোর্টাল ঢাকা পোস্ট ‘প্রতারকের খপ্পরে প্রাথমিক উপবৃত্তির টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের নজরে আসলে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, উপবৃত্তির টাকা একটি প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে, এটা জানার পর মন্ত্রণালয় ও উপবৃত্তি প্রকল্পকে আরও সতর্কভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ প্রতারণার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে অনুরোধ করেছি।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির প্রথম কিস্তির টাকা মোবাইলে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই প্রতারকচক্র দেশের বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দেওয়া শুরু করে। কখনও নগদের এজেন্ট, কখনও শিক্ষা কর্মকর্তা বা প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পিন নাম্বার, ওটিপি বা উপবৃত্তির টাকা কম গেছে বলে তাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য চায়। আরও টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে বলে ওটিপি চাওয়া হয়। অনেক অভিভাবক না বুঝে সব তথ্য প্রতারকদের দিয়ে দেন। এরপর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
প্রতারণার বিষয়টি উপবৃত্তি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে তা জানায়। এছাড়া সবাইকে সর্তক থাকতে কিছু নির্দেশনা দিয়ে দুই দফা চিঠি জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, যেখানেই প্রতারণার খবর পাওয়া যাবে, সেখানে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে। এছাড়াও ‘নগদ’-কে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা আরও বেশি করে চালানো নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী বলেন, প্রতারক চক্র উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর জানার পরপরই আমরা নগদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সবাইকে পিন ও ওটিপির ব্যাপারে সর্তক থাকতে বলেছি।
এনএম/এমএইচএস