পদত্যাগ করলেন আইডিয়ালের সেই মুশতাক
অবশেষে গভর্নিং বডির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আলোচিত সেই দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগের কারণ ‘ব্যক্তিগত’ দাবি করলেও ‘ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে’ বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন মুশতাক।
আরও পড়ুন : কিং মুশতাক ও রানি সিনথিয়া উপাখ্যানে ‘বিব্রত’ আইডিয়াল
আজ শনিবার পদত্যাগের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন খন্দকার মুশতাক নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি আইডিয়াল স্কুলের দাতা সদস্য পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছি। এখন থেকে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’
এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘তার পদত্যাগপত্র পেয়েছি। পরবর্তী বৈঠকে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন মুশতাক
পদত্যাগপত্রে মুশতাক লেখেন, ‘আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্কুল কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে আমি আশা করছি। আইডিয়াল স্কুলের কমিটিতে থাকার সময়টি আমার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার জীবনের এই মুহূর্তে আমি এমন একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যা সত্যিই আমার হৃদয় ভেঙে দেয়।’
আরও পড়ুন : ‘আমি মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি’
‘গত কিছুদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও এসব অভিযোগ বারবার আনা হয়েছে। স্কুল কমিটির স্বার্থে আমি আমার অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছি। স্কুলে দায়িত্ব পালনকালে বন্ধুরাও শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য কষ্টের।’
আরও পড়ুন : আইডিয়ালের আঙিনায় যেতে পারবেন না ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাক
মুশতাক লেখেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে আমি বড় ধরনের ঝড় মোকাবিলা করেছি। আমি সর্বদা ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন : প্রেম অন্ধ, হয়তো মেয়েটা ভালোবেসেই বিয়ে করেছে : হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ। এ ঘটনার জেরে ওই ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে আসামি করা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
এনএম/এসকেডি