তীব্র দাবদাহে ভিকারুননিসার ৬ ছাত্রী অসুস্থ
তীব্র দাবদাহে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছয়জন ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর অভিভাবকদের মাধ্যমে বাসায় পাঠানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত জানতে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতির পরামর্শ চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে ছয়জন ছাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অভিভাবকদের মাধ্যমে তাদের বাসায় পাঠানো হয়।
এ অবস্থায় স্কুল খোলা রাখবেন না বন্ধ ঘোষণা করবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও মাউশির সঙ্গে কথা বলব। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই চূড়ান্ত। প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতাবলে যে কয়দিন ছুটি দেওয়া যায় তার মধ্যে থেকে গতকাল (মঙ্গলবার) ছুটি দিয়েছিলাম। বছরের মাঝামাঝি হওয়ায় আমি চাইলেই আর ছুটি দিতে পারব না। এজন্য মাউশি অধিদপ্তরের মতামত চেয়েছি।
এদিকে গতকাল (মঙ্গলবার) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে অসুস্থ হওয়া এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর নাম উম্মে হাবিবা। সে ওই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও তিতাস উপজেলার চান নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।
এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লেখা এক চিঠিতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেছেন, গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ‘খ’ শাখার একজন শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার। তার রোল নম্বর ১৪। ওই ছাত্রী মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে স্কুলে আসার পর তার মা সকালের নাস্তা রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস নিয়ে আসেন। মেয়েটি রুটি ভাজি না খেয়ে খালি পেটে তালের শাঁস খায় এবং পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ও বমি করে।
ক্লাসের দ্বিতীয় পিরিয়ডের শেষের দিকে আনুমানিক বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহপাঠী ও ক্লাসের শিক্ষক তাকে প্রাথমিকভাবে সেবা প্রদান করেন। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে সে মৃত্যুবরণ করে।
এনএম/কেএ