উপবৃত্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্তির শেষ সময় ২৩ এপ্রিল
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০২১ সালের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণি এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে উপবৃত্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্তির শেষ সময় ২৩ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
দেশের সব ভৌগোলিক এলাকার (মেট্রোপলিটন ও জেলা সদরের পৌর এলাকাসহ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাঠদানে অনুমতি/স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসা এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না।
শুধুমাত্র ষষ্ঠ এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আওতায় উপবৃত্তি প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবে। তবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যারা উপবৃত্তি কর্মসূচি বহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জেএসসি/জেডিসি পাস করে নতুন ভর্তি হয়েছে তারাও উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী ৯ম শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে না। অন্যান্য শ্রেণির উপবৃত্তি সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হবে।
ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিরতিহীনভাবে শর্তসাপেক্ষে এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত ও একাদশ শ্রেণির নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিরতিহীনভাবে শর্তসাপেক্ষে দ্বাদশ শ্রেণিতে পর্যন্ত উপবৃত্তি পাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত অপারেশন ম্যানুয়াল অনুসরণের মাধ্যমে সারাদেশে ষষ্ঠ, নবম ও একাদশ শ্রেণির আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উপকারভোগী শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন/অফলাইনে আবেদন ফরম সরবরাহ করে সঠিক তথ্যসহ ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করার জন্য বুঝিয়ে বলবেন। কোনো শিক্ষার্থীকে আবেদন করতে উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করা যাবে না। আবেদনকারীরা শ্রেণিশিক্ষকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থেকে আবেদনপত্রের সব তথ্য প্রদান করবে।
অসম্পূর্ণ ও সঠিক নয় এমন তথ্যাদির আবেদনপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। আবেদনপত্রের তথ্যের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেণি শিক্ষক দায়ী থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এনএম/এমএইচএস