ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
রাজধানীর অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অবসরে যাচ্ছেন শিগগিরই। তবে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে চায় প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি। এ নিয়োগ ঠেকাতে মরিয়া আরেকটি পক্ষ। অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ৬১ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিয়েছে বিরোধী পক্ষটি ।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খনমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, গত ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে এ তদন্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খনমের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। এই ৬১ পৃষ্ঠার অভিযোগে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং শিক্ষা প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানমের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে ভর্তি বাণিজ্য, শিফট পরিবর্তন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের কামরুন নাহার বলেন, তদন্ত হোক সমস্যা নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি।
তিনি বলেন, আমি অধ্যক্ষ হয়ে আসার পর অনেক অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। ভর্তি-বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ কেনাকাটার অনেক অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। এতে কেউ কেউ সংক্ষুব্ধ হয়েছে। তারাই আমার চাকরির মেয়াদ শেষের দিকে এসে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ঠেকাতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে প্রেষণে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি রাজধানীর দুয়ারীপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন।
এনএম/এসকেডি