প্রাথমিকে নিয়োগ : মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকারা রাজস্বখাতভুক্ত হবে না!
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। তবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সবাই রাজস্বখাতভুক্ত সরকারি চাকরিজীবী হচ্ছেন না। কিছু প্রার্থীকে প্রকল্পভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
নতুন নির্বাচিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান সংক্রান্ত এক নির্দেশানা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গতকাল ২০ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ ধরনের নির্দেশনা সম্বলিত পত্র পাঠানো হয়।
ওই পত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুসারে সংযুক্ত শূন্য পদের তালিকা অনুযায়ী প্রথমে রাজস্বখাতভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে। রাজস্বখাতভুক্ত শূন্য পদে নিয়োগের পর অবশিষ্ট নির্বাচিত প্রার্থীদের জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিইডিপি-৪ এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য সৃষ্ট পদে নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন : প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচিতদের করণীয়
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই পত্রে সই করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিচিতি প্রতিপাদন ও সকল ডকুমেন্টস যাচাইয়ের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সকল মূল সনদসহ সকল সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ৩ (তিন কপি), পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ/প্রত্যয়ন এবং ডোপ টেস্ট রিপোর্ট ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সনদ) সশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা প্রদান না করলে তার অনুকূলে নিয়োগ আদেশ জারি করা যাবে না।
আরও পড়ুন : চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি : ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি
উল্লেখ্য, কয়েক ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর গত ১৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
এমএম/এসকেডি