নির্দিষ্ট তারিখেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা, অনড় মন্ত্রণালয়
মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি উঠলেও তা নির্দিষ্ট তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এই তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মন্ত্রণালয় মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম, কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব।
পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আলোচনা হয়েছে তবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা দেখি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট সময় পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা দিতে পারলে তারা ভালো করবে বলে আমরা মনে করছি। তাই নির্দিষ্ট সময়েই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীদের ওই অংশ। তাদের বক্তব্য, করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিষয়ক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। তাহলে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা কেন পেছানো হবে না?
এরপর সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন করে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে তারা বলেন, করোনার সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ মেডিকেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে না। এটি এক ধরনের বৈষম্য। আমরা এই বৈষম্য মানি না।
২ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হবে বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মিলিয়ে প্রায় চার লাখ মানুষের সমাগম হবে। ফলে অনেকেই করোনায় সংক্রমিত হবেন। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর অনেকেই বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেন। তবে এবার সে সুযোগ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হবেন। তাই দ্রুত পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবি জানান তারা।
এসএইচআর/ওএফ