এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিতর্কে তদন্ত কমিটি
চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো আহসান হাবীব ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ও উপ-কলেজ পরিদর্শক সদস্য হিসেবে রয়েছে। কমিটিকে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রে প্রশ্ন যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মডারেট করা হয়। সে কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হচ্ছে। তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। তার পাশাপাশি অপরাধীদের অপরাধের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে শোকজ দেওয়া হবে বলেও জানান যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন : ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রণীত হয়েছে। প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের একটি কলেজের একজন শিক্ষক। আর চার মডারেটরের মধ্যে দুজন নড়াইলের দুটি কলেজের এবং বাকি দুজনের একজন সাতক্ষীরার একটি কলেজের এবং আরেকজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি কলেজের শিক্ষক।
গত রোববার সারা দেশে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’
এমএম/এসএম