বৃত্তি নিয়ে ‘ইচ্ছাকৃত’ বৈষম্যের শিকার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা
তিন বছর ধরে বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করে সাধারণ শিক্ষায় যাওয়া শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এ সমস্যার শুরু। গত তিন বছরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সমাধানে কে এগিয়ে আসবে, সেটা নিয়েও আছে দ্বন্দ্ব। এর ফলে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছে। অথচ একই সময়ে নিয়মিত বৃত্তি পাচ্ছে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা। বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃত ‘বৈষম্য’ হিসেবে দেখছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৯ সালে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ইবতেদায়ী সমাপনী, জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষা পাসের পর যেসব শিক্ষার্থী বোর্ড পরিবর্তন করেছে অর্থাৎ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গেছে তাদের বৃত্তির টাকা আটকে যায়। গত ৩ বছর ধরে বৃত্তির টাকা জমা হলেও শিক্ষার্থীরা তা পাচ্ছে না। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা বোর্ড ও মাউশিতে গেছে। কিন্তু ফিরেছে খালি হাতে।
মাদ্রাসা বোর্ড থেকে আলিম পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়া শরিফ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। ভর্তির পর একবারও বৃত্তির টাকা পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন দুইশ`র বেশি ছাত্র বৃত্তির টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত আছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে অনেকবার বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রসেসিং করার পরও কোনো খবর নেই। সেখানে গেলে তারা মাউশি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতার কথা বলে। মাউশিতে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সমস্যার কথা বলে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে গেলে তারাও দায় এড়িয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ত্রুটির কথা বলে। মাদ্রাসা বোর্ডে গেলে তারাও কোনো সমাধান দিতে পারে না। আসলে প্রকৃত সমস্যা কোথায় তা আমরা এখনো বুঝতে পারছি না।
শরীফ আরও বলেন, সাধারণ বোর্ডের শিক্ষার্থীরা গত ৩ বছরে ৩ বার বৃত্তির টাকা পেয়েছে। অথচ আমরা একবারও পাইনি। আমাদের মধ্যে অনেকে এই বৃত্তির টাকা পাবে বলে অনেকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে, যা পরবর্তীতে আরও ভোগান্তির কারণ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা বোর্ড ও অধিদপ্তর থেকে যদি কোনো সমাধান না আসে, তাহলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না— এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান জানতে যোগাযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই টাকাটা বোর্ডের ওপর নির্ভর করে। মাদ্রাসা বোর্ড যদি টাকা না দেয় সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। বৃত্তির টাকা দেবে কি দেবে না এটা সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত। আমাদের এখানে টাকা আটকে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের মুঠোফোনে তিন দিনে ২০ বারের বেশি কল করা হয়, ৫ বার ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়, তারপরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কখনো তিনি কল ধরেননি, কখনো কেটে দিয়েছেন। তার বক্তব্য নিতে শিক্ষা ভবনে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন এই প্রতিবেদক, কিন্তু কোনোভাবেই তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি
মাউশি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের আগে হাতে হাতে বৃত্তির টাকা পেত শিক্ষার্থীরা। তখন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর মাউশির অধীনে ছিল। তখন মাদ্রাসা বা সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা পাস করত, তাদের বৃত্তির টাকা মাউশিকে দেওয়া হতো। ২০১৯ সাল থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা হয়ে যায়। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে যেসব শিক্ষার্থী পাস করে, তাদের বৃত্তির টাকা মাদ্রাসা অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। আবার ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের টাকা চলে যায় মাউশিতে।
আগে বৃত্তি পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটা বিল করে ওই অ্যাকাউন্টসে বৃত্তির গেজেটসহ জমা দিতেন। অ্যাকাউন্টস অফিস সেটা পাস করলে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে শিক্ষার্থীদের হাতে দিয়ে দেওয়া হতো। এখন বৃত্তির টাকা জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। এজন্য একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
মাউশি বলছে, ২০১৯ সালে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা পাস করে সাধারণ শিক্ষায় এসেছে, তাদের বরাদ্দ মাউশির কাছে নেই। তাদের বরাদ্দ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে আছে। ফলে বরাদ্দ না থাকায় গত দুই-তিন বছর সেসব শিক্ষার্থীকে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, অর্থ মন্ত্রণালয় এসব শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকার চেক মাউশিকে দেবে না, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে দেবে। এ সমস্যার সমাধানে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে বেশ কয়েকটি সভা করা হয়েছে বলেও মাউশির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদ্রাসা থেকে কতজন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষায় এসেছে, সেটার একটা তথ্য আমরা নিয়েছি। ৬ষ্ঠ থেকে অনার্স পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় এসেছে। এ বছরের তথ্য নিলে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। এই সংখ্যা দশ হাজারও হতে পারে।
তিনি বলেন, এসব শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেজন্য বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর মাউশির সাবেক মহাপরিচালক (অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক) মাউশি, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে একটা যৌথ সভা করার জন্য অর্থ সচিবকে চিঠি লিখেছেন। বর্তমান মহাপরিচালক (অধ্যাপক নেহাল আহমেদ) যোগ দেওয়ার পর তাকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর মহাপরিচালক ০২ মার্চ সবাইকে নিয়ে যৌথ সভা করেন।
২০১৯ সালে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ইবতেদায়ী সমাপনী, জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষা পাসের পর যেসব শিক্ষার্থী বোর্ড পরিবর্তন করেছে অর্থাৎ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গেছে তাদের বৃত্তির টাকা আটকে যায়। গত ৩ বছর ধরে বৃত্তির টাকা জমা হলেও শিক্ষার্থীরা তা পাচ্ছে না
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ মার্চ সচিবের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। এরপর চলতি মাসের ১২ তারিখে (১২ জুন) আগে দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তৃতীয় আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। আবার আমাদের কাছে বরাদ্দও নেই। এজন্য শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। তবে আশা করছি, খুব দ্রুত অর্থ মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে আবার সভা হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা বাবদ অর্থ মন্ত্রণালয় যে টাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে দিয়েছে সেটা আমাদের দিলে আমরা টাকা দিয়ে দিতে পারব। আমাদের প্রস্তুতি আছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় পেলে আমরা দুই-তিনদিনের মধ্যে সবাইকে পাঠাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, বৃত্তির টাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরেই আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা পাস করেছে, তাদের বৃত্তির টাকা অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়, এটাই স্বাভাবিক। আমরা তো সাধারণ বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষার্থী বিবেচনায় বছরের শুরুতে একটা বাজেট দিয়ে দিই। আমাদের শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ যেমন মাউশিতে আছে, তেমনি মাদ্রাসা থেকে যারা পাস করেছে, তাদের টাকাও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে আছে। যখন টাকা দেওয়া হয়, তখন তো তারা জানে না কতজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় আসবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজে উত্তর দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শামসুজ্জামানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শামসুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি পেয়েছে এটা ম্যাটার না, শিক্ষার্থী কোথায় পড়ে এখন সেই পরিচয়ে শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবে।
৬ষ্ঠ থেকে অনার্স পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় এসেছে। এ বছরের তথ্য নিলে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। এই সংখ্যা দশ হাজারও হতে পারে
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী পড়ে, তাদের বৃত্তির টাকার ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা এই টাকা আনবে মাউশি থেকে। সমস্যা হয়েছে, মাউশি বলছে এসব শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে। তাহলে তাদের টাকা কে দেবে, তারা নাকি আমরা? এই জটিলতা নিরসনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি সভা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি। ফলে শিক্ষার্থীরাও টাকা পাচ্ছে না। এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয়, স্কুল ও কলেজ পর্যায়েও তাই।
শিক্ষার্থী বিবেচনায় বছরের শুরুতে বাজেট দিয়ে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী টাকা পায় অধিদপ্তরগুলো। মাদ্রাসা থেকেই যেহেতু এসব শিক্ষার্থী পাস করেছে, তাদের টাকা তো মাদ্রাসা অধিদপ্তরেই থাকার কথা- এই বিষয়ে তিনি বলেন, এখন যারা মাদ্রাসায় পড়ছে, তাদের টাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে আছে, আর সাধারণ শিক্ষায় যারা পড়ছে তাদেরটা আছে মাউশির কাছে। এরপর তিনি আর কিছু না বলে ফোন কল কেটে দেন।
২০১৯ সালের আগে হাতে হাতে বৃত্তির টাকা পেত শিক্ষার্থীরা। তখন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর মাউশির অধীনে ছিল। তখন মাদ্রাসা বা সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা পাস করত, তাদের বৃত্তির টাকা মাউশিকে দেওয়া হতো। ২০১৯ সাল থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা হয়ে যায়। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে যেসব শিক্ষার্থী পাস করে, তাদের বৃত্তির টাকা মাদ্রাসা অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের মুঠোফোনে তিন দিনে ২০ বারের বেশি কল করা হয়, ৫ বার ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়, তারপরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কখনো তিনি কল ধরেননি, কখনো কেটে দিয়েছেন। তার বক্তব্য নিতে শিক্ষা ভবনে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন এই প্রতিবেদক, কিন্তু কোনোভাবেই তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এএজে/জেএস