মুনাফায় ফেরাতে ফারইস্ট ফাইন্যান্সে নতুন পর্ষদ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে মুনাফায় ফেরাতে স্বতন্ত্র পরিচালকের নেতৃত্বে নতুন পর্ষদ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (৩১মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লোকসানে থাকায় চার বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পরেনি কোম্পানিটি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৫২ কোটি ২২ লাখ টাকা। লোকসানের কারণে বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে তারা।
কোম্পানিটি মুনাফায় ফেরাতে ছয়জন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে নতুন পর্ষদ করার নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। গত ২৯ মার্চ এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা বুধবার ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
কোম্পানির নতুন পরিচালকরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ মুকুল, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান আজিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সজিব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্সি পরিচালক ড. মোশাররফ হোসাইন, শেখ নাজমুল হক সৈকত এবং একেএম শহিদুজ্জামান। এছাড়াও কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শামসুল ইসলাম ভরসা, খাদিজা ওয়াহিদা জাহান এবং আসাদুজ্জামানকে। সব মিলে ৯ জন পরিচালকের নেতৃত্বে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সে।
এবিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টককে বলেন, ফারইস্ট ফাইন্যান্সে নতুন করে পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন পর্ষদ গঠনের খবর সঠিক বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী জারিয়াব।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিকে ২০১৮ সালে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠায় বিএসইসি। সেই হিসেবে প্রায় তিন বছর ধরে জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স শেয়ারহোল্ডারদের সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং তার আগের বছর অর্থাৎ তালিকাভুক্তির দ্বিতীয় বছর ২০১৪ সালে আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে।
২০০ কোটি টাকা অনুমোধিত মুলধনের কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর সময়ে লোকসান হয়েছে ১৫২ কোটি ২২ লাখ টাকা। কর পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৭১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এমআই/জেডএস