বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ২৮৮ কোটি টাকা
দুদিন উত্থান আর তিনদিন সূচক পতনের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এই সপ্তাহে উভয় বাজারে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সূচক এবং লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ২৮৮ কোটি টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।
গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি কমেছে ২৮৮ কোটি টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।
বিদায়ী (২ ফেব্রুয়ারি-৯ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই কর্মদিবস সূচক পতন, এরপর মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই কর্মদিবস সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। এছাড়াও সপ্তাহ শেষ দিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্য দিয়ে।
এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০০টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫৩টির, কমেছিল ১২৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক দুই পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে চার দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৭২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার ১৪৩ টাকা। অর্থাৎ ৪০৪ কোটি টাকা লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসেবে ১৪ শতাংশ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, শাইনপুকুর সিরামিকস, ওরিয়ন ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ইস্টার্ন হাউজিং, আমরা নেটওয়ার্কস, জেমিনী সি ফুড এবং বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫২ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫২ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৯১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
এমআই/এফকে