পুঁজিবাজারে দরপতন গড়াল চতুর্থ দিনে
দরপতন আতঙ্কের মধ্যদিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবারও (১৮ অক্টাবর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৪১ পয়েন্ট পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আজ ডিএসইতে ৩৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩ কোটি ২৪ লাখ ১৬ হাজার ২৩২টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, যার মূল্য ১ হাজার ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।
৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০০টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক দশমিক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডর শেয়ার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমের শেয়ার।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৮৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই বাজারে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৮০টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪২ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৯ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার।
এমআই/এসএম