কোরবানির চামড়া কিনতে ঋণ নেওয়ার সময়সীমা বাড়ল
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের দেওয়া বিশেষ ঋণ সুবিধার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঋণ পাবেন কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ীরা। এর আগে, ঋণ নেওয়ার সময় ছিল চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে বিতরণ করা ঋণের অপরিশোধিত অর্থ পুনঃতফসিলসহ কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট আদায় ব্যতীত ২০২১ সালে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে নতুন ঋণ দেওয়ার সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এ সুবিধা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এ সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আজহার আগে এ ঋণ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী যারা আগের বছরের ঋণ পুরোপুরি শোধ করেন, শুধু তারাই এ ঋণ পান। এছাড়াও ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের বিবেচনায় অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে থাকে। তবে করোনা মহামারিতে কাঁচামাল সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে এ খাতে ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে চামড়া কেনার সুবিধার্থে বিশেষ সুবিধায় ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেওয়া হয়।
এর আগে সার্কুলারে বলা হয়, দেশীয় কাঁচামালভিত্তিক চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক যোগান আসে প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়া থেকে। এ সময় চামড়া ব্যবসায়ীদের নিকট প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান নিশ্চিত করা গেলে একদিকে মূল্যবান কাঁচামাল সংরক্ষণ করা সম্ভবপর হবে, অন্যদিকে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।
সার্বিক বিবেচনায় ২০২০ সালে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার ঋণের অপরিশোধিত অর্থের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে স্টক বা সহায়ক জামানত থাকা সাপেক্ষে ওই অপরিশোধিত অর্থের তিন শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে সর্বোচ্চ তিন তিন বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। এ পদ্ধতিতে পুনঃতফসিলিকরণের পর ব্যাংকিং নিয়মাচার অনুসরণ করে ব্যাংকগুলো ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ২০২০ সালের পূর্বনির্ধারিত কোটার (বরাদ্দকৃত অর্থের) সমপরিমাণ ঋণ দিতে পারবে।
এছাড়া ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে ২০২১ সালে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে নতুন ঋণ দেওয়ার সময় কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট আদায় করা যাবে না বলে সার্কুলারে বলা হয়েছিল।
এসআই/আরএইচ