তামহা সিকিউরিটিজের প্রতারণা : ৬৮ কোটি টাকা লাপাত্তা
তামহা সিকিউরিটিজ অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর ৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
তাদের এ অর্থ ফিরে পেতে প্রায় তিন মাস ধরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে অভিযোগ দায়ের করছেন। কিন্তু এতে কোনো সুরাহা হয়নি।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
তামহা সিকিউরিটিজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফখরুল ইসলাম। এ সময় বিনিয়োগকারী মজিবুর রহমান এবং রওশন আরা উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, তামহা সিকিউরিটিজের মালিক ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। বিএসইসি ওই সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেওয়ার পর আমরা সিডিবিএলে যোগাযোগ করে জানতে পারি আমাদের হিসাবে কোনো শেয়ার নেই।
তিনি বলেন, তামহা কর্তৃপক্ষ আমাদের দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য আমাদের ফোনে এসএমএস ও মেইল পাঠাতো। এ কারণে আমারা তাদের জালিয়াতি বুঝতে পারিনি। সিকিউরিটিজ হাউজটির মালিকসহ তার দুই বোন প্রায় শতকোটি টাকা লুটপাট করে নিয়েছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীদের আবেদন ছাড়া কিভাবে সিডিবিএল মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করল? বিএসইসি এবং ডিএসইর মনিটরিংয়ের অভাবে আমরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিক মতো মনিটরিং করত তাহলে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটত না।
তামহা সিকিউরিটিজের মালিক ডা. হারুন বিনিয়োগকারীদের এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, যতদ্রুত সম্ভব তাকে বিচারের আওতায় এনে আমাদের টাকা ও শেয়ার ফেরতের উদ্যোগ নিতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানাই।
বিএসইসি চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ করে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ফখরুল ইসলাম বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব আমাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আমাদের শেষ সম্বলটুকু এখানে বিনিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু আমরা এখন সবই হারালাম। আমাদের বাঁচান, পুঁজিবাজারকে বাঁচান। না হলে দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পরবে।
এমআই/আইএসএইচ