ই-কমার্সে অবৈধ ডিজিটাল আইটেম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
নেটফ্লিক্সের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনসের সাবস্ক্রিপশন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হচ্ছে মূল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়াই। এতে সংশ্লিষ্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হাতছাড়া হচ্ছে। তবে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসার পরপরই ই-কমার্সে এ ধরনের ব্যবসা বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল আইটেম দেশীয় মুদ্রায় বিক্রির জন্য প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের ব্যবসা বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন নীতিমালা লঙ্ঘন হবে যদি না এর বিক্রেতাকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এর মূল্য বিদেশে পাঠানো না হয়। এ ধরনের পেমেন্টের ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাটের বিষয়গুলোও রয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের জন্য বিদেশি মুদ্রায় কোনো ডিজিটাল আইটেম কেনা হলে তা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী বিদেশি বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন কিনে তা আবার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করে থাকে, যা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই দিন বৈদেশিক বাণিজ্যে নীতি সহায়তার সময়সীমা বাড়িয়ে আরও একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সার্কুলার জারি করে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবতকৃত আমদানি-রফতানি বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ক নীতি সহায়তার সময়সীমা ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় শিল্পের কাঁচামাল, রফতানি খাতের ব্যাক টু ব্যাক আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে পরিশোধ সময় ১৮০ দিনের পরিবর্তে ২৭০ দিন করা যাবে।
এছাড়া চলতি ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে বিজিএমইএ ও বিটিএমএ এর সদস্য মিলের জন্য রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ঋণসীমা ৩ কোটি ডলার থাকছে। বর্ধিত সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
এসআই/আরএইচ