কেনাকাটার চেয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত বাণিজ্য মেলায় আগতরা
রাজধানীর অদূরে পূর্বাচল উপশহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ঢাকার বাইরে এ মেলার আয়োজন এবারই প্রথম। দিন কয়েক পার হলেও আয়োজন এখনো জমে ওঠেনি। মেলায় আগতরা এখন কেনাকাটার চেয়ে ছবি তোলায় বেশি ব্যস্ত।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রধান ফটকে তেমন ভিড় নেই। দশ-বারোজন করে দলে দলে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছেন। মেলায় প্রবেশের পর পরই চোখে পড়ে এক্সিবিশন সেন্টারের সামনে থাকা সুবিশাল খালি জায়গা, যেখানে রয়েছে বিশ্রামের জন্য বেঞ্চ, হেঁটে চলাচলের মতো পর্যাপ্ত জায়গা; রয়েছে ফোয়ারাও।
এতো সুন্দর পরিবেশ দেখে মেলায় আসা যে কারো মন ভরে উঠবে। আর তাই তো মেলায় প্রবেশের পরই সুদৃশ্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ছেন আগতরা। মুঠোফোন হাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ছবি তুলতে। আগতদের কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। আবার কেউবা পরিবারের সঙ্গে।
দেখা গেছে, আগতদের উচ্ছ্বসিত করতে মেলা প্রাঙ্গণের খোলা মাঠে দুটো স্পিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাতে বাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পীর গান। অনেক সময় পছন্দের গান পেলে আগতরা কণ্ঠ মেলাচ্ছেন, কেউবা একসঙ্গে নাচে মেতে উঠছেন। বিকেল গড়ালেও মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে না।
নারায়ণগঞ্জ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে আসা সবুজ ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীর ওপার রূপগঞ্জে আমার বাসা। খুব কাছে হওয়ায় বন্ধুদের সঙ্গেই মেলায় এসেছি। এখনকার সময়ে কোথাও যাব, আর সেখানের ছবি তুলব না তা কী করে হয়। তাই বন্ধুরা মিলে ছবি তুলছি।
মেলা থেকে কোনো কিছু কেনার আগ্রহ আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আজ প্রথমবার এলাম, মূলত ঘুরতেই এসেছি। ঘুরে ঘুরে দেখব কী পাওয়া যায়। পরে সিদ্ধান্ত নেব।
ঢাকা থেকে বান্ধবী নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন শাকিব। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ প্রথম মেলায় এসেছি। ঢাকা থেকে অনেকটা দূরে। সে অনুযায়ী ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাটা ভালো হয়নি। এদিকে রাস্তার বেহাল অবস্থা তো আছেই। রাস্তা-ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার সমন্বয় হলে অবশ্যই মেলা এখানেই ভালো চলবে। মেলা থেকে কিছু কিনব কি না, তা এখনো ভাবিনি। তবে হয়তো শেষের দিকে আবার আসব।
এমএইচএন/আরএইচ