বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুললে টিকিট ফ্রি
রাজধানীর পূর্বাচলে মাসব্যাপী শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলায় বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুললে টিকিট ফ্রি। শুধু তাই নয়, কেউ যদি বিকাশে বাণিজ্য মেলার টিকিট কেনেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি মেলা উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য এ ছাড় দিয়েছে।
বিকাশের বিশেষ ছাড়ে বাণিজ্য মেলা কর্তৃপক্ষের কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের নেই কোনো ভিড়। বরং বিকাশের অস্থায়ী কাউন্টারগুলোতে দর্শকদের ভিড় লেগেছে।
রাজধানীর আশকোনা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে ফ্রিতে একটি টিকিট পেয়েছি। আরেকটি টিকিটের জন্য ৪০ টাকা দিয়েছি। আমাকে ২০ টাকা ক্যাশব্যক দিয়েছে। ভালোই হয়েছে।
বাণিজ্য মেলার ভেতরে ও বাইরে বিকাশে টি-শার্ট পরিধান করে কিছু বিকাশের কর্মচারীরা দর্শনার্থীদের অফারটিতে উদ্বুদ্ধ করছেন। আবার অনেকেই স্টলে বসে বসে ফরম পূরণ কিংবা অন্যান্য কাজগুলো করছেন।
বিকাশে পার্টটাইম কর্মরত আশিক বিল্লাহ ঢাকা পোস্ট বলেন, আমাদের কোম্পানি মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাক অফার দিয়েছে।
আবার কেউ যদি নতুন করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেন তাহলে তাকে মেলায় প্রবেশের জন্য বিনামূল্য একটি টিকিট দিচ্ছে।
এছাড়াও বাণিজ্য মেলায় পেমেন্ট করলে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক অফার তো আছেই।
তিনি জানান, এ অফার পুরো মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে। বিকাশের অ্যাকাউন্ট খুলতে শুধু প্রয়োজন জাতীয় পরিচয়পত্র।
এদিকে প্রথমবার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার দ্বিতীয় দিনেও দর্শকদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শুধু তাই নয়, এখনো প্রস্তুত হয়নি মেলার বেশির ভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়ন। চলছে নির্মাণ আর গোছানোর কাজ।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা ও শিশুদের ২০ টাকা।
শনিবার (১ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথম স্থায়ী ভেন্যুতে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে এ মেলা হতো রাজধানীর আগারগাঁওয়ে।
মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্ট গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।
এমআই/এসএম