দেশে প্রথম ‘গ্রিন জিরো কুপন’ বন্ড
সাজিদা ফাউন্ডেশন-এর জন্য বাংলাদেশে প্রথম ‘গ্রিন জিরো কুপন’ বন্ডের ব্যবস্থা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এই বন্ড থেকে যা আয় হবে তা সাজিদা ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ এবং এসএমই গ্রাহকদের ঋণ হিসেবে দেবে। এই বন্ডের মোট মূল্য ১০ কোটি টাকা।
আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাজিদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদা ফিজ্জা কবির; স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ।
এই অর্থ সাজিদা ফাউন্ডেশনের পরিবেশভিত্তিক প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নে ব্যবহৃত হবে। ইস্যুকৃত এই জামানত ফাউন্ডেশনের প্রচলিত মেয়াদী ঋণ তহবিলের বিকল্প উৎস হিসেবে কাজ করবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাধ্যতামূলকভাবে এই লেনদেনের মুখ্য ব্যবস্থাপক।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশ গত দশকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য ডেল্টা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হয়ে ওঠার আমাদের লক্ষ্য পূরণে শুধুমাত্র প্রচলিত ব্যবসা-বাণিজ্যই যথেষ্ট নয়। গ্রিন ফাইন্যান্স আমাদের প্রবৃদ্ধির যাত্রার পরবর্তী পর্যায়ের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনাস্বরূপ। এই যুগান্তকারী লেনদেনের জন্য আমরা সাজিদা ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানাই।
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক জলবায়ু কর্মকাণ্ড তৈরিতে শক্তিশালী আর্থিক হাতিয়ার গ্রিন বন্ডের সম্ভাবনা ব্যাপক। এমএসএমই সেক্টরে গ্রিন অর্থায়নের পথে নেতৃত্বদানে সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাহবা পাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশে গ্রিন বন্ড বাজারের উন্নয়নে উভয় প্রতিষ্ঠান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ঋণ পুঁজিবাজারের পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও নেতৃত্বদান করছে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এই ব্যাংকের পুঁজিবাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, অবকাঠামো, খাদ্য ও পানীয়, টেক্সটাইল, পরিষেবাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করেছে।
এসআই/এইচকে