১২৭৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এ ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমং গিংটিং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ইআরডি সচিব বলেন, এডিবি ঋণ কোভিড-১৯ মহামারির সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে।
এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর গিনটিং বলেন, এডিবির এই প্রয়াস নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। একটি ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সিএমএসইকে অর্থায়ন করা হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করা হবে। এক কথায় করোনা সংকটে পড়া মানুষকে সহায়তা করতেই ঋণ দিচ্ছে এডিবি।
এডিবির জানায়, দেশের তরুণ, বিদেশফেরত কর্মী এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ উদ্যোক্তা বিশেষ করে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) জন্য ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঋণের টাকা নিয়ে দেশের ৩০ হাজার সিএমএসই উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহজতর করা এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে মহামারির প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করতে এ অর্থায়ন করা হচ্ছে। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪ লাখ প্রবাসী বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও বেকার। এছাড়া, গ্রামাঞ্চলে মানুষের আয় কমে গেছে এবং কৃষি ছাড়া অন্যান্য কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে গেছে। পাশাপাশি গ্রামীণ উদ্যোক্তারাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন করোনার প্রভাবে। এসব জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা হবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, এডিবির এ অর্থে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজার কুটির, মাইক্রো এবং ছোট আকারের উদ্যোগকে সহায়তা করা হবে। যুব, প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী শ্রমিক এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত কুটির, মাইক্রো এবং ছোট আকারের উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশকে এ অর্থায়ন করা হবে। ঋণের এ অর্থে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষ করে, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা হবে।
এসআর/এসকেডি