বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমল ১৫ হাজার কোটি টাকা
দরপতনের মধ্য দিয়ে নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী এই সপ্তাহে (২১-২৫ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে, সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও।
এই সপ্তাহটিতে শুধু ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের পুঁজি (বাজার মূলধন) কমেছে ১৪ হাজার ৯৮১ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৪ টাকা। আর সিএসইর বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে তারও আগের সপ্তাহে দুই বাজারে পুঁজি কিছুটা বেড়েছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স) আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার থেকে ৬ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৩৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯২ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গত এক সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এছাড়া কমেছে ৩১৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে ৩৮৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছিল, কমেছিল ১৯১টির। অপরিবর্তিত ছিল ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৮ টাকায় অবস্থান করছে। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৮ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৬২ টাকা। তবে তার আগের সপ্তাহে পুঁজি বেড়েছিল ৪ হাজার ৬০৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩১ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৬ হাজার ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার ১৭ টাকা লেনদেন হয়। এর আগের সপ্তাহে মোট পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ টাকা। অর্থাৎ, আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৬ হাজার ৮৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭১ টাকা, যা ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি পুঁজি কমেছে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড, কোহিনূর কেমক্যালস, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, হামিদ ফেব্রিকস, বেঙ্গল উন্ডোরস, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিজিয়াল ফাইন্যান্স এবং তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল লিমিটেডের।
তবে দরপতনের সপ্তাহেও সবচেয়ে বেশি পুঁজি বেড়েছে একমি পেস্টিসাইস, সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স, ওয়ান ব্যাংক, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান ফিড, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশ গার্মেন্টস, প্যামাউন্ট টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পাঁচ কার্যদিবসে মোট ২৬১ কোটি ৯২ লাখ ১৮ হাজার ৪৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬৬৫ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় পুঁজি কমেছে ১৪ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এমআই/এমএইচএস