প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ : প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তাই পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছেন সাধারণ পরীক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে পরীক্ষার্থীরা পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেন।
স্মারকলিপিতে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ৫ ব্যাংকের সম্মলিত পরীক্ষা ভয়াবহ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষা শুরুর আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে।
এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পরও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। এছাড়া পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক কম থাকাসহ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে বিলম্ব এবং নানা অব্যবস্থাপনা ও চরম অনিয়ম ছিল বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন পরীক্ষার্থীরা। তাই ওই পরীক্ষা বাতিলসহ দ্রুত পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। একাধিক চাকরি প্রার্থীর দাবি, পরীক্ষা চলার সময় প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি পক্ষ শুরু থেকেই পরীক্ষা বাতিলের দাবি করছে। প্রথমে তারা বলেছিল করোনার কারণে প্রস্তুতি কম, তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে। পরে বলা হলো, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষায় উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। এখন প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটা অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিষয়টি আমরাও শুনেছি। ৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখব। যদি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় বা সংশ্লিষ্ট কেউ যদি জড়িত থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এসআই/ওএফ/জেএস