ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণসীমা বাড়ল
তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণসীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোভিড-১৯ এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হওয়া দ্বিতীয় মেয়াদে এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এককভাবে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। ন্যূনতম ৫ সদস্যবিশিষ্ট যৌথ প্রকল্পে ঋণ মিলবে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা।
এতদিন এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং যৌথভাবে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারতেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের বিষয়ে নতুন সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ছোট ব্যবসায়ীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে স্কিমের বাস্তবায়ন আরও সহজতর করার জন্য ইতোপূর্বে জারি করা সবগুলো নির্দেশনা সমন্বিত করে আরও নতুন কিছু নির্দেশনা যোগ করা হয়েছে।
তিন হাজার কোটি টাকা এ স্কিম থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) বা এনজিও মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদি এ স্কিমের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ।
নতুন যেসব নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে, ইসলামী শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর শরিয়া ঋণ নীতিমালা অনুসরণ করে এ স্কিমের আওতায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারবে।
এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো এতোদিন তিনটি ব্যাংক থেকে অর্থ নিতে পারতো। এখন পাঁচটি ব্যাংক থেকে এ স্কিমের আওতায় অর্থ নিতে পারবে। স্কিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে শুধু তিন বছর বলা হয়েছিল।
স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদহার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়নের বিপরীতে দশমিক পাঁচ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেবে। আগে এক শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে অর্থ দিতো। আর অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে ৩ শতাংশ সুদে অর্থ দেবে। আগে ছিল সাড়ে তিন শতাংশ।
একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ জনের
সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারবে।
এসআই/এসএম